কলারোয়ায় জৈব সার ব্যবহার না করা ও জমির মাটি কেটে বিক্রয় করায় ক্ষতির মুখে কৃষক

0
4

জাহিদুল ইসলাম(জাহিদ): কলারোয়ায় জৈব সার ব্যবহার না করা ও জমির মাটি
কেটে বিক্রয় করায় ক্ষীতির মুখে পড়ছে কৃষক। কৃষি কাজের প্রধান হাতিয়ার
হচ্ছে মাটি পানি ও জমি। জমি থাকলে সেখানে ফসল করা যায়। কৃষক জমিতে ফসল
ফলানোর জন্য এই মাটিকে কঙ্কল বানিয়ে ফেলেছে।মাটির প্রধান খাদ্য হলো জৈব
সার । জৈব সার ব্যবহার করলে মাটি উর্বরতা ফিরে পাই।
১০০ গ্রাম মাটিতে ৫% জৈব সার ২৫% পানি ও২৫% বাতাস অন্যান্ন উপাদান
৪৫% হয়। কিন্তু বর্তমানে ২% জৈব সার আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া
কৃষক তার জমির উপরি অংশ কেটে ভাটায় বিক্রয় করার কারণে জমির উর্বতার দিক
দিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছে যা আমাদের আগামি দিনের জন্য মারাক্তক ক্ষতির মুখে
পড়তে যাচ্ছে কৃষক।
জৈব সার হল মাটির প্রাণবন্ত জৈবসার ব্যবহারের ফলে মাটিতে জৈব পদার্থের
পরিমান বাড়ে। জৈব সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বারতা বাড়ে। এতে নাইট্রোজেন
ফসফরাস পটাসিয়াম এবং অন্যান্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ফসলের প্রধান খাদ্য
ও অন্যান্ন উপাদানের ঘাটতি পুরণ করে থাকে। এ ছাড়া কাদা মাটি কিছুটা
দোলা তৈরী করে মাটিটিকে আরো উর্বর করে তোলে। মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ
করার ফলে গাছটি ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয়তা হিসাবে অনেক দিন ধরে শুষে নিতে
পারে।জৈব সার প্রয়োগের পরে প্রায় ৬/১৮ মাসের পরে ও প্রভাব ফেলতে পারে এটি
পরবর্তী ফসলেও উপকারী।
জৈব সার হ’ল প্রাণী ও পাখির বিভাজন এবং উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশের মলমুত্র দ্বারা
তৈরী জৈব সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের গ্রামাঞ্চালের মা বোনেরা
গরুর মল রান্না কাজে ব্যবহারে জন্য লাকড়ী তৈরী করে জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার করে।
জৈব পদার্থ সম্পর্কে আমাদের কৃষক তেমন সচেতন না হওয়ায় এর ব্যবহার দিনে
দিনে হ্রাস পাচ্ছে এবং কৃষক রাসায়নিক সারের ব্যবহারের দিকে ঝুকছে যা
কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জৈব সার ব্যবহার ও মাটি কাটা থেকে বিরত রাখতে কৃষকদের মধ্যে জনসচেতনা
বৃদ্ধি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশেষ নজর
দিতে এবং অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করে কৃষকসহ আমাদের আগামী
প্রজম্মদের পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদা মিটনোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি জরুরী বলে
মনে করেন সচেতন মহল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here