কলারায়ার গ্রামগঞ্চে দাম হ্রাস পাওয়ায় সবজি তরিতরকারি ও মাছর বাজার জনসাধারণর স্বস্তি ফিরছে। মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও ভিখারীর মন আনন্দে ভরে উঠছে। উপজেলার লাউডুবি গ্রামের পারভীন জানায়, তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পাড়ায় সংসারে আয় কম হওয়ায় ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত শাক সবজি তরিতরকারি মাছর বাজার দর বৃদ্ধি পায় ক্রেতা সাধারণর নাগালের বাইরে চলে যায়। মাছে ভাতে বাঙালী তা দুরের কথা ডাল ভাত জোটানা দূরহ হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহ কাল যাবত বাজার মূল্য হ্রাস প্রায় ৩ বছর আগের দাম ফিরে গেছে সবজি তরিতরকারির বাজার। বিশেষ করে মাছ ও চাউল ও মুরগীর বাজার চড়া হলেও কাচা বাজার এ স্বস্থি ফিরে এসেছে। দমদম বাজারে আলফাজ জানায়, আয় কমে যাওয়ায় কাচা বাজার করতে বর্তমান কোন সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু মাছ মাংস চাউল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জীবন চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। মির্জাপুর গ্রামের তানভীর বলেন চাউলের বাজারে গেলা চোখ দিয়ে পানি চলে আসে কারণ চাউলের দাম চড়া হওয়ায় বাচ্চাদের মুখে ভাত তুলে দেওয়া সম্ভাব হচ্ছে না। এ ছাড়া বিশেষ করে শিশু বাচ্চার গুলা দুধ খাওয়া নিয়ে শিশুর বায়নায় সংসারে চরম অশান্তি দেখা দিচ্ছে সম্প্রতি পুরা মাত্রায় শীতের শাক সবজি তরিতরকারি বাজারে স্বস্থি ফিরে এসেছে। ফুলকপির কেজি ৮/১০ টাকা, পাতাকপি ও ওলকপি ১০/১২ টাকা, সিম ২০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মুলা ৫ টাকা, পুইশাক মিচড়ী ৩০ টাকা, কাচা ঝাল ৫০/৬০ টাকা, লাউ পিস ১৫ টাকা, ৫/৬ জন খাওয়ার মত একতাড়ি পালন ৫ টাকা, পিয়াজর কালির তাড়ি ১৫ টাকা, লাল শাক তাড়ি ৫ টাকা, আমড়া ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০/২৫ টাকা, নতুন আলু ৪৫ টাকা, পিয়াজ ৪৫ টাকায় নেমে এসেছে। বায়ালিয়ার বৃদ্ধা ভিখারী করিমন জানায়, আলু ও পিয়াজ বাদে ৩ বছর আগের মত কম দামে সবজি তরিতরকারি বিক্রি হচ্ছে। এত আমার পরিবার একটু ভাল ভাবে খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। সরকার পতনের পর মাংসের দাম সাড় ৭’শ থেকে নেমে সাড়ে ৬’শ টাকায় বিক্রি অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়। এখন থেকে যথা যত বাজার মনিটরিং করলে কাচা বাজারসহঅন্যান্ন নিত্য পণ্যে দাম সহনিয় পর্যায় থাকবে বলে মনে করে বিশিষ্টজন।